কনসার্ট ফর বাংলাদেশ (The Concert for Bangladesh) – আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত এ ঘটনাটি। কীভাবে শুরু হয়েছিলো এর? কারা ছিলেন এ মহৎ উদ্যোগের পেছনে? নাবীল অনুসূর্যের আজকের লেখায় সেটাই জানবো আমরা।
১৯৭১ সাল। আগের বছরের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলাদেশে আঘাত করেছে পাকবাহিনীর বর্বরতা। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাপ-দাদার ভিটে খোদার হাতে সঁপে দিয়ে ছুটে যাচ্ছে সীমানার দিকে। তারা ভারতের নিরাপদ জমিনে একটু আশ্রয় চায়। এত শরণার্থী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হওয়া অসহায় শরণার্থীদের থাকা-খাওয়ার জন্য আরো টাকার দরকার। পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বখ্যাত বাঙালি সেতারবাদক রবিশঙ্কর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারলেন না। তাঁর বন্ধু দ্য বিটলসের (The Beatles) গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনকে বললেন সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য। জর্জ হ্যারিসন কম্পোজ করলেন “Bangla Desh” গানটি। ঠিক করলেন রবিশঙ্করের “Joi Bangla” কম্পোজিশনের সঙ্গে তাঁর গান মিলিয়ে একটি অ্যালবাম বের করবেন, শুধু বাংলাদেশের জন্য।
প্রথম দিকে বাংলাদেশের নাম ইংরেজিতে “Bangla Desh” হিসাবেই লেখা হতো। তাই বানানটা বর্তমান বানানের চেয়ে আলাদা।
কিন্তু রবিশঙ্করের স্বপ্ন ছিলো অন্যরকম। তিনি হ্যারিসনকে বললেন, একটা ছোটখাটো কনসার্ট করলে কেমন হয়? হ্যারিসন স্বপ্নটাকে আরো বড় করে দিলেন; বললেন, কনসার্টই যখন হবে, তখন আর ছোট আকারে করে কী লাভ? করলে একেবারে বড় একটা কনসার্টই করা যাক! এভাবেই শুরু কনসার্ট ফর বাংলাদেশের। ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া হয় নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার। তারিখ – ১ আগস্ট ১৯৭১।
একটি স্বপ্নের জন্ম
২৫ মার্চ কালরাতের পর শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ, সাথে ভারতমুখী শরণার্থীদের অসহায় যাত্রা। তাদেরকে সাহায্য করার জন্যই মূলত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন কনসার্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজন করেন। এ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় মাত্র ৫ সপ্তাহের মধ্যে। হ্যারিসন অধিকাংশ মিউজিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ফোনে। আর সবাই এখানে পারফর্ম করেন কোন টাকাকড়ি ছাড়াই। তাঁরা পারফর্ম করেন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
জর্জ হ্যারিসন বিশ্বের সঙ্গীত ইতিহাসের এক বিখ্যাত নাম। সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড দ্য বিটলসের অন্যতম সদস্য সবার আগে যোগাযোগ করলেন অন্য সদস্যদের সঙ্গে। কিন্তু বেঁকে বসলেন পল ম্যাককার্টনি। তিনি তখন আর ব্যান্ডটির সদস্য নন; তাই এর সঙ্গে কোন কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। কিন্তু সানন্দে রাজি হলেন জন লেনন। আর রাজি হবেন না-ই বা কেন, তিনি তখন রীতিমতো বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সমস্যা বাঁধলো অন্য জায়গায়। তাঁর স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সঙ্গে সন্তান সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় শেষ পর্যন্ত তিনি আসতে পারলেন না কনসার্টে। এ ব্যাপারে অবশ্য মতভেদ আছে। অন্য মত অনুযায়ী, হ্যারিসন তাঁকে শর্ত দিয়েছিলেন কনসার্টে ওনোকে ছাড়া পারফর্ম করতে হবে। কিন্তু তাঁর যুদ্ধবিরোধী সংগ্রামের সঙ্গী ওনোও কনসার্টে পারফর্ম করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যান। ফলাফল, লেনন কনসার্টেই যোগ দিলেন না।
দ্য রোলিং স্টোনসের (The Rolling Stones) মিক জ্যাগারও বাংলাদেশের ডাকে কনসার্টে পারফর্ম করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা হলো ভিসাতে। তিনি তখন ফ্রান্সে। সময়মতো ভিসা পেলেন না আইনি জটিলতায়। পারফর্ম করা হলো না ঐতিহাসিক এ কনসার্টে।
রিঙ্গো স্টার হতাশ করেননি হ্যারিসনকে। এ বিটলস তারকা ঠিকই যোগ দেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশে। “Tears in Heaven”-খ্যাত এরিক ক্ল্যাপ্টনও রাজি হলেন। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট ও ব্লুজ-রকের স্রষ্টা হিসেবে ধরা হয় তাঁকে।
সমস্যা অবশ্য দেখা দিলো অন্যভাবে। তখন ক্ল্যাপ্টন ভয়ংকর মাদকাসক্ত। নিয়মিত হেরোইন সেবন করতেন। কনসার্টের কোন রিহার্সালেই যোগ দিতে পারেননি তিনি। এমনকি কনসার্টের আগের সপ্তাহে প্রতিদিন নিউ ইয়র্কের প্লেনের টিকিট কিনেছিলেন। কিন্তু আসা হয়নি একটা দিনও। শেষমেশ আয়োজকরা তাঁর আশা ছেড়ে দিয়ে দুইজন গিটারিস্টও ঠিক করেন ব্যাক আপ হিসেবে – ডন প্রিস্টন ও তাজ মহল ব্যান্ডের জেস ডেভিসকে। ক্ল্যাপ্টনকে খবর পাঠিয়ে দেয়া হয়, আসতে হবে না তাঁকে। কিন্তু হঠাৎ করে কনসার্টের আগের দিন হাজির হয়ে যান কিংবদন্তি এ গিটারিস্ট। ফাইনাল সাউন্ডচেকের সময়ই প্রথম ও শেষ বারের মতো রিহার্সাল করে নিলেন। আর কনসার্ট শেষে হ্যারিসন বলতে বাধ্য হলেন, “সে অসাধারণ পারফর্ম করেছে।”
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের আরেক বড় আকর্ষণ ছিলেন বব ডিলান। নতুন করে এ গায়ককে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। রক, ফোক রক, ফোক, কান্ট্রি মিউজিকের উজ্জ্বল এক নাম তিনি। তাঁর “Blowin’ in the Wind” আর “The Times They Are a-Changin'” মার্কিন যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে গণসঙ্গীতে পরিণত হয়েছিলো। হাতে গিটার আর গলায় ঝোলানো হারমোনিকা ছিলো তাঁর ট্রেডমার্ক। হ্যারিসনের ডাকে তিনিও আসেন বাংলাদেশের জন্য গান গাইতে। এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার – তখনো বব ডিলানের লাইভ কনসার্ট বিরলই ছিলো!
কনসার্ট ফর বাংলাদেশের জন্য আরো এসেছিলেন “The Master of Space and Times” হিসাবে খ্যাত লিওন রাসেল, দ্য বিটলসের এক সময়ের বেসিস্ট ক্লাউস ভরম্যান আর দ্য বিটলসের সদস্য না হয়েও তাঁদের অ্যালবামে কাজ করার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী বিলি প্রিস্টন। এছাড়াও পারফর্ম করেন জিম কেল্টনার, জেস ডেভিস, ডন প্রিস্টন ও কার্ল র্যাডলি। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে ব্যাডফিঙ্গার (Badfinger) আর দ্য হলিউড হর্নস ব্যান্ড ছাড়াও ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েকজন শিল্পী – ডন নিক্স, জো গ্রিন, জেনি গ্রিন, মার্লিন গ্রিন, ডলরেস হল ও ক্লডিয়া লিনিয়ার। ছিলেন ভারতীয় সঙ্গীতের দুই মহীরূহ – সেতারসম্রাট পণ্ডিত রবিশঙ্কর আর সরোদসম্রাট ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন তবলায় আল্লারা খাঁ ও তানপুরায় কমলা চক্রবর্তী।
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ: মূল অনুষ্ঠান
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, বিকাল ৭টা। নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে বসলো বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কনসার্ট। বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) চলতে থাকা পাকবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে গর্জে উঠলেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের শিল্পীরা। একাত্মতা ঘোষণা করতে জড়ো হলেন প্রায় ৪০ হাজার লোক। তাঁদের সামনে বাংলাদেশের সমর্থনে গান গাইলেন বিশ্ব সঙ্গীতের কিংবদন্তীরা। জানিয়ে দিলেন, পৃথিবীর বুকে জন্ম নিচ্ছে একটি নতুন দেশ – বাংলাদেশ। জন্মের ক্ষণে তাঁদের বুকের উপর দিয়ে চালানো হচ্ছে নিদারুণ অত্যাচারের বুলডোজার। কিশোর বাংলাদেশের এখন সাহায্যের প্রয়োজন। তাঁরা বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত।
মূলত সেদিন দুইটি কনসার্ট হয়েছিলো – একবার বিকালে, আরেকবার সন্ধ্যায়। ৪টি গান ছাড়া সব গান দুই কনসার্টেই গাওয়া হয়েছিলো। দুইটি আলাদা অংশ ছিলো কনসার্টে।
প্রথম অংশ ছিলো ভারতীয় সঙ্গীতের উপর। এতে রবিশংকর আর ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ পরিবেশন করেন একটি বাংলা ধুন। বাংলাদেশি একটি লোকসঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে তাঁরা এটি কম্পোজ করেন। দুইটি কনসার্টের শুরুতেই পরিবেশিত হয় এ কম্পোজিশন।
দ্বিতীয় অংশটি ছিলো সাধারণ পশ্চিমা ঢংয়ের কনসার্ট। গানগুলো হলো:
- Wah-Wah
- Something
- That’s the Way God Planned It
- It Don’t Come Easy
- Beware of Darkness
- While My Guitar Gently Weeps
- Jumpin’ Jack Flash/Young Blood
- Here Comes the Sun
- A Hard Rain’s Gonna Fall
- Blowing in the Mind
- It Takes a Lot to Laugh, It Takes a Train to Cry
- Just Like a Woman
- My Sweet Lady
বিকালের কনসার্টে গাওয়া হয়েছিলো আরো তিনটি গান:
- Awaiting on You All
- Love Minus Zero/No Limit
- Hear Me Lord
সন্ধ্যার কনসার্টে এর বাইরে গাওয়া হয় একটি গান:
- Mr. Tambourine Man
দুই কনসার্টের শেষেই জর্জ হ্যারিসন গেয়েছিলেন তাঁর বিখ্যাত গান “Bangla Desh” – যে গানে তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের কথা, যে গানে তিনি শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশে পাকবাহিনীর বর্বরতার কথা, যে গানে তিনি সবাইকে বলেছিলেন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে।
Now won’t you lend your hand and understand?
Relieve the people of Bangladesh
কনসার্ট-পরবর্তী উদ্যোগ
কনসার্টের পরপরই জর্জ হ্যারিসন ও ফিল স্পেক্টরের প্রযোজনায় গ্রামোফোন রেকর্ড বাজারে ছাড়ে অ্যাপল রেকর্ডস। অন্যদিকে ক্যাসেট আর টেপ বাজারজাত করে কলম্বিয়া মিউজিক। ১৯৭২ সালে কনসার্ট দুইটির ভিত্তিতে নির্মিত হয় একটি চলচ্চিত্র – The Concert for Bangladesh নামে। মূল অনুষ্ঠান ছাড়াও জর্জ হ্যারিসনের পরামর্শ অনুযায়ী কনসার্টের আগের ও মাঝের কিছু ভিডিও জুড়ে দেয়া হয় তাতে।
২০০৫ সালে কনসার্টটির দুই ডিস্কের এক বিশেষ ডিভিডি সংকলন বের করা হয়। প্রথম ডিস্কের মূল চলচ্চিত্রের সাথে দ্বিতীয় ডিস্কে যুক্ত হয় একটি এক্সক্লুসিভ ডকুমেন্টারি, The Concert for Bangladesh Revisited with George Harrison and Friends নামে। তাতে জর্জ হ্যারিসন বর্ণনা করেন কনসার্টের নেপথ্যের কিছু কাহিনী। সাক্ষাৎকার দেন রবিশঙ্কর, এরিক ক্ল্যাপ্টন, রিঙ্গো স্টার, বিলি প্রিস্টন, লিওন রাসেল, ক্লস ভোরম্যান, জিম কেল্টনার ও জিম হর্ন। কনসার্টটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বলেন রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেন ওয়েনার, লাইভ এইডের সংগঠক বব গেল্ডফ ও অ্যাপল কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নেইল এসপিনাল।
কনসার্ট থেকে মোট আয় হয় প্রায় ২,৪৩,৪১৮.৫০ ইউএস ডলার। এর পুরোটাই বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য জমা দেয়া হয় ইউনিসেফের (UNICEF) ফান্ডে। সিডি ও ডিভিডি থেকে পাওয়া অর্থ থেকে বিজ্ঞাপন, উৎপাদন ও বিপণন খরচ কেটে বাকিটাও দেয়া হয় সে ফান্ডে। তবে ১৯৭২ সালে নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন ও ১৯৮৫ সালে লস এঞ্জেলস টাইমস এ ফান্ডের ব্যাপারে কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলে। ১৯৮০ সালে একটি সাক্ষাৎকারে জন লেননও এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে সেগুলো পরে প্রমাণিত হয়নি।
কনসার্ট ফর বাংলাদেশের ঘোষণা দেয়া হয় যে সংবাদ সম্মেলনে, তাতে এক সাংবাদিক জর্জ হ্যারিসনকে প্রশ্ন করেছিলেন, “পৃথিবীতে তো কতোই সমস্যা আছে। সব বাদ দিয়ে আপনি কেন বাংলাদেশের শরণার্থীদের ব্যাপারে কাজ করতে আগ্রহী হলেন?” হ্যারিসন রবিশঙ্করকে দেখিয়ে অম্লান মুখে বলেন, “কারণ আমার বন্ধু এ ব্যাপারে আমার সহায়তা চেয়েছেন।”
দীর্ঘদিন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এ বিদেশী অকৃত্তিম বন্ধুদের ভুলেই ছিলো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁদেরকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অবশ্য তাঁদের এর চেয়েও বড় প্রাপ্তি আছে বাংলাদেশ থেকে – দেশের মানুষের অনিঃশেষ ভালোবাসা।
তথ্যমূলক এ পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ লেখক নাবীল অনুসূর্যকে। বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) জীবনের শুরু থেকে তিনি ফিচার-সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ছোটদের পাতা কিডজ-এর সঙ্গে। বাইরে লেখালেখি করেছেন ও করছেন কালের কণ্ঠ, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, বণিক বার্তা, বাংলা ট্রিবিউন, রাইজিংবিডি, এনটিভি অনলাইন, অনন্যা, লুক, আভোগ এবং ফ্ল্যাশব্যাক-এ। বর্তমানে ডাবিং স্ক্রিপ্টরাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩টি। দুটি শিশুসাহিত্য – তের নম্বর রাজডিম (ফ্যান্টাসি) এবং ব্যাঙ ডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ (রূপকথা-অনুবাদ), আরেকটি কবিতার বই – পরির প্রতি পত্রাদি।
নাবীল অনুসূর্যের বিভিন্ন লেখা আমরা সিরিজ আকারে কুইজার্ডসে প্রকাশ করবো। তাঁর অন্যান্য লেখা পড়তে ও আপডেট পেতে যেতে পারেন ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ও ফেসবুক পেইজে।