ভূমধ্যসাগর ও ঈজিয়ান সাগরের মাঝামাঝি জায়গায় একখণ্ড রুক্ষ ভূমিতে জন্ম হয়েছিলো এক সভ্যতার। একে আমরা আজ প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা বলে চিনি। সময়ের সাথে হারিয়ে গেছে এ সভ্যতা, কিন্তু গ্রিকরা বোধহয় মানবজাতিকে ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান রত্নগুলো দিয়ে গেছে।
গ্রিক মিথলজি সারা বিশ্বে বহুল পরিচিত ও আলোচিত একটি বিষয়। মজাদার আর রোমাঞ্চকর সব কাহিনীতে ভরপুর এর উপাখ্যানগুলো। এ মিথলজির বিষয়গুলো এতটাই জনপ্রিয় যে অন্যান্য দেশের সংস্কৃতিতেও রয়েছে এর উপস্থিতি। হলিউডের ‘Clash of the Titans‘ বা ‘Troy‘ ছবির কথা মনে আছে নিশ্চয় সবার!
প্রাচীন গ্রিকদের জীবনদর্শন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় গ্রিক মিথলজি থেকে। তাই শুধু সাহিত্যমূল্যের বিবেচনায় নয়, বরং ইতিহাসের দলিল হিসাবেও এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
বর্তমান গ্রিক মিথলজি কুইজে থাকছে অলিম্পিয়ান ও টাইটানদের নিয়ে দশটি প্রশ্ন।
গ্রিক মিথলজি চরিত্র: পার্সিয়াস
দেবতা জিউস ও আর্গোসের রাজকন্যা ডেনেইর ছেলে পার্সিয়াস। ডেনেইর বাবা অ্যাক্রিসিয়াস এক ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে জানতে পারেন যে পার্সিয়াসের হাতে তার মৃত্যু ঘটবে। তাই তিনি নিজের মেয়ে ও নাতিকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন। ভাগ্যক্রমে ডিকটাইস নামক এক জেলে তাঁদেরকে সমুদ্র থেকে তুলে আনেন। এই জেলে ছিলেন সেরিফোস দ্বীপের রাজা পলিডেকটিসের ভাই। সেরিফোসেই বড় হয়ে ওঠেন পার্সিয়াস।
রাজা পলিডেকটিস ডেনেইকে বিয়ে করতে চাইলেও প্রত্যাখ্যাত হন। কৌশলে তাই পার্সিয়াসকে দূরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাজা নিজের জন্মদিনে পার্সিয়াসকে মেডুসা নামক এক গর্গনের মাথা নিয়ে আসার আদেশ দেন। উল্লেখ্য যে, মেডুসার চোখের দিকে তাকালে যে কেউ পাথরে পরিণত হতো।
দেবতাদের সাহায্যে পার্সিয়াস মেডুসার মাথা কেটে ফেলতে সক্ষম হন। সেরিফোস ফেরার পথে তিনি আইথিওপিয়ার রাজকন্যা অ্যান্ড্রোমিডাকে সিটাস নামক সমুদ্র-দানবের কাছ থেকে রক্ষা করেন। দুইজনের বিয়েও হয়।
ইতোমধ্যে ডেনেইকে বিয়ে করতে না পেরে রাজা পলিডেকটিস তাঁকে গৃহকর্মী হিসাবে রেখে দিয়েছিলেন। সেরিফোস ফেরার পর পার্সিয়াস তা জানতে পারেন ডিকটাইসের কাছ থেকে। প্রতিশোধ নিতে তিনি মেডুসার কাটা মাথা নিয়ে রাজপ্রাসাদে যান ও পলিডেকটিসকে পাথরে পরিণত করেন।
One Comment
Leave a Reply