ইতিহাসে গ্রিক সভ্যতার যে অবদান, সেখান থেকে বাদ যায় নি পৌরাণিক কাহিনীগুলোও। গ্রিক সভ্যতার মতো এর মিথলজিও তাই কৌতুহলোদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর। এজন্য ‘অলিম্পিয়ান ও টাইটানদের রাজ্যে’ কুইজের মাধ্যমে আমরা শুরু করেছিলাম একটি সিরিজ। এবার থাকছে সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব।
নির্বাচিত চরিত্র: অরফিয়াস
উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে অস্ট্রিয়ার হেলবুন প্রাসাদে অবস্থিত একটি স্থাপনা। গ্রিক মিথলজির অন্যতম বিখ্যাত চরিত্র অরফিয়াসের স্মরণে এ স্থাপনাটি তৈরি করা হয়েছে।
বলা হয়ে থাকে যে, দেবতা অ্যাপোলোর কাছ থেকে লায়ার (এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র) বাজানোর শিক্ষা পেয়েছিলেন সঙ্গীত কিংবদন্তি অরফিয়াস। তার মনোমুগ্ধকর কণ্ঠ আর সুনিপুণ বাজনায় এমনকি বন্যপ্রাণী আর গাছপালাও মোহিত হয়ে যেতো! অরফিয়াসের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো ইউরিডিসি নামের এক নিম্ফের (বিশেষ ধরনের সুন্দরী আত্মা)। অ্যাপোলোর অন্যতম সন্তান অ্যারিস্তেওসের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় ইউরিডিসি সাপের কামড়ে মারা যায়। মৃত প্রেমিকাকে ফিরে পাবার জন্য অরফিয়াস একটি গুহার মধ্য দিয়ে নরকে যান। তার গান ও বাজনা শুনে নরকের দেবতা হেইডিস এতটাই মুগ্ধ হন যে, তিনি ইউরিডিসির জীবন ফিরিয়ে দিতে রাজী হন। তবে অরফিয়াসকে একটা শর্ত দেয়া হয় – তার প্রেমিকাকে নিয়ে পৃথিবীতে যাবার আগ পর্যন্ত পেছনে ফিরে তাকানো যাবে না। ইউরিডাইসকে নতুন করে পাবার আনন্দে হোক বা তাকে গান শোনাবার জন্য হোক, দুর্ভাগ্যবশত অরফিয়াস পেছনে ফিরে তাকান। শর্ত ভঙ্গ করার কারণে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায় ইউরিডিসি।
অরফিয়াসের কাহিনীর নানা ধরণ ও বিশ্লেষণ গ্রিক মিথলজিতে পাওয়া যায়। তবে মূল কাহিনীতে তেমন কোন পার্থক্য নেই।