ফল কুইজ

ছোটবেলায় তোতা পাখির সাথে কবিতায় এ ফলের নাম প্রায় সময় উচ্চারিত হতো। বাংলায় শরিফা বা নোনা নামেও পরিচিত এ ফলকে ইংরেজিতে 'কাস্টার্ড অ্যাপল', 'সুগার অ্যাপল' ও বলে। এর ভেতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। আবার সে কোষের ভেতর থাকে একটি করে বীজ, যাকে ঘিরে থাকা সাদা নরম ও রসালো অংশ খেতে হয়। কোন ফলের কথা বলছি?

_____ ফলের প্রস্থচ্ছেদ করলে তারা আকৃতির মতো দেখায়। ইংরেজিতে কারাম্বোলা বা চাইনিজ গুসবেরি বলা হয় একে। সবুজ বা হলদে রংয়ের এ ফলে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন এ ও সি পাওয়া যায়।

দেখতে হাতির আপেল না হলেও বেশ বড় এ ফলের ইংরেজি নাম ‘Elephant Apple’, যা মূলত দক্ষিণ এশিয়াতে পাওয়া যায়। স্বাদে টক বলে এর আচার, চাটনি, টক ডাল অনেকের কাছে প্রিয়। ফলটি হলো -

কালো বা নীলাভ কালচে রংয়ের এ ফল খেলে জিহ্বা বেগুনী বা নীল দেখায়। দেখতে ১ থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার লম্বা এ ফল বর্ষাকালে পাওয়া যায়। লবণ-মরিচ মাখিয়ে ফলটি খেতে অনেকে পছন্দ করেন। কী নাম এর?

লেবুজাতীয় এ ফল সিলেটে খুব জনপ্রিয়। ফলগোত্রীয় হলেও সবজি হিসাবে বড়-ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা হয়, বিশেষ করে গরুর মাংস দিয়ে রান্না সবচেয়ে জনপ্রিয়। কী নাম এর?

টেনিস বলের মতো দেখতে _____ মৌসুমি ফলের বাজারে বেশি পাওয়া যায়। বাইরের খোসা বেশ শক্ত এর; পাকলে ভেতরে নরম হয়। দেশে ছেলে-বুড়ো সবার কাছে জনপ্রিয় এ ফলের শরবত গরমে তৃপ্তি জুড়ায়।

কথিত আছে, ১৮০০ সালে মালদহের কালেক্টর র‌্যাভেন সাহেব ঘোড়ার গাড়ি চেপে গৌড় যাচ্ছিলেন। পথে তাঁর তেষ্টা মেটানোর জন্য কোন এক গ্রামের ফজলু বিবি নামে এক মহিলার বাড়িতে যান। ফজলু বিবি নিজের উঠানের আমগাছ থেকে ফকির-সন্ন্যাসীদের আপ্যায়ন করাতেন (এজন্য এ আমের আরেক নাম ফকিরভোগ)। ফজলু বিবি র‍্যাভেন সাহেবকে পানির বদলে একটি আম খেতে দেন। আমটি খেয়ে সাহেব ইংরেজিতে ফজলু বিবিকে আমের নাম জিজ্ঞেস করেন। বুঝতে না পেরে মহিলা তাঁর নিজের নাম বলেন। এ ঘটনার পর থেকে এ ধরনের আমের নাম হয়ে যায় _____।

ব্যাঙ্গালোরে থাকাকালীন দেখেছি মিষ্টি এ ফলের জুস বা মিল্কশেক দারুণ জনপ্রিয়। এশিয়াতে একে নানা নামে ডাকা হয় - কখনো চিকু, কখনোবা সাপোটা। দেখতে ডিম্বাকৃতির বাদামি রংয়ের এ ফলের ভেতরটাও বাদামি। বাংলাদেশে এ ফলটি কী নামে পরিচিত?

Ziziphus zizyphus হলো _____ ফলের বৈজ্ঞানিক নাম। ডিম্বাকৃতির এ ফল বাংলাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয় ফলটিকে। এছাড়া পাকা ফল দিয়ে চাটনি বানানো যায়, যা বহু মানুষের পছন্দের খাবার।

পাম গোত্রের অন্যতম দীর্ঘকায় এ গাছের পুরোটাই কোন না কোন কাজে লাগে - এর পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, চাটাই, মাদুর, লেখার পুঁথি, পুতুল ইত্যাদি তৈরি হয়; আবার এর কাণ্ড থেকে বাড়ি, নৌকা, হাউস বোট বানানোর কাঁচামাল পাওয়া যায়। এর ফল (ও বীজ) বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এ গাছের কাণ্ড থেকেও রস সংগ্রহ হয়, যা গুড়, পাটালি, মিছরি ও তাড়ি (এক প্রকার চোলাই মদ) তৈরির কাজে লাগে। কোন ফল?