বিভিন্ন জায়গার নামকরণ বিভিন্নভাবে হয়। কোন কোন সময় একটা জায়গার সাথে জড়িয়ে থাকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাম। কখনো কখনো জায়গাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা তাৎপর্য থেকেও নামকরণ হয়। তবে অনেক স্থানের নামের সুনির্দিষ্ট ইতিহাস খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। আজকের কুইজে থাকছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার নামকরণ নিয়ে দশটি প্রশ্ন। জায়গাগুলো শহর, গ্রাম, জেলা, উপজেলা বা শুধু একটা এলাকা হতে পারে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের জন্য কুইজটি সহজ হবার কথা!
বিভিন্ন জায়গার নামকরণ: তথ্যকণিকা
– মুঘল সুবেদার ইসলাম খান ঢাক বাজিয়ে একটি নগরের সীমানা নির্ধারণ করেছিলেন। কোন নগর? ঢাকা! ঢাক থেকে ঢাকা। অবশ্য খান সাহেবের দেয়া নাম ছিলো জাহাঙ্গীরনগর, যা পরবর্তীতে টেকে নি।
ঢাকার নামকরণ নিয়ে অন্য ধারণাও রয়েছে। অনেকে মনে করেন যে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকেই ঢাকা নামের উৎপত্তি।
– ঢাকার বিভিন্ন জায়গার নামকরণ নিয়েও রয়েছে বিচিত্র কাহিনী। মুঘল শাসনামলে ঢাকার হাতীগুলো রাখা হতো যেখানে, তা বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তর। হাতিশালের আরেক বাংলা নাম পিলখানা। কাজেই বুঝতে পারছেন যোগসূত্রটা। হাতির কথা গেলো। মাহুতদের কী হলো? তারা থাকতেন মাহুতটুলীতে। তারা এ হাতিগুলোকে নিয়ে যেতেন ভাওয়াল রাজার হাতিরঝিলে। যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া হতো, ইংরেজ আমলে তা পরিচিত হয় এলিফ্যান্ট রোড নামে! এখানেই শেষ নয়। যাবার পথে খালের উপর হাতিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা পুল থেকে এসেছে বর্তমান হাতিরপুলের নাম।
ঢাকার কাকরাইল আর ওয়ারী এলাকার সাথে আমরা পরিচিত। দুই ইংরেজ অফিসার ককরেল আর উয়ারের স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই এলাকাগুলো ঘিরে।
– ব্রহ্মপুত্রের উত্তরে ছিলো ভাওয়াল রাজার পরগণা। ১০ কাহন (পয়সা) দিয়ে বিশাল এ নদ পার হয়ে যেতে হতো ঐ পরগণায়। ফলে নাম হয়ে গিয়েছিলো দশকাহনিয়া। পরবর্তীতে ভাওয়াল রাজা শের আলী গাজীর নামে শহরের নাম হয়ে গেলো শেরপুর!
– মানিকগঞ্জের নামকরণের সুনির্দিষ্ট ইতিহাস জানা যায় না। একটা ধারণা অনুযায়ী নবাব সিরাজদ্দৌলার বিশ্বাসঘাতক মানিকচাঁদের নাম থেকে এ জেলার নাম এসেছে। ইতিহাস বলে যে মানিক আমাদের চোখের মানিক নন!
– বাংলার ইতিহাসে একটি বিখ্যাত আন্দোলনের নাম হলো ফরায়েজি আন্দোলন। এ আন্দোলনের প্রবক্তা হাজী শরিয়তউল্লাহর নাম থেকে শরীয়তপুর জেলার নামের উৎপত্তি।
বোনাস তথ্য: ফেনী জেলার নাম এসেছে ফেনী নদীর নাম থেকে। কিন্তু ফেনী নদীর নাম? গবেষণার বিষয়!