মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের ঠিক আগে আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের দেশের কৃতী কিছু সন্তানকে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে থাকছে এবারের কুইজ। ১৪ জন বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে তথ্য দেয়া আছে। তাঁদের পরিচয় জানা আছে কি আপনার?
ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগ দিয়ে ’৬৮ সালে অধ্যাপক হন। তাঁর বেশ কিছু গবেষণাপত্র ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ও ল্যান্সেটেও প্রকাশিত হয়।
সঠিক!
ভুল!
-
চিরকুমার এ অধ্যাপক ১৯৫৩ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান হন ’৬৩ সালে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ভোরে তাঁর নিজের বাসায় দত্তক কন্যার (রোকেয়া সুলতানা) সামনেই এ আত্মভোলা শিক্ষক ও দত্তক কন্যার স্বামীকে (মোহাম্মদ আলী) ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ কথা ছিল – ‘গুড সেন্স, গুড সেন্স’।
সঠিক!
ভুল!
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে এ প্রতিষ্ঠানেই যোগ দেন ১৯৫০ সালে। লন্ডন কিংস কলেজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা এ শিক্ষক মানবতাবাদী হিসেবে খ্যাত ছিলেন। জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে পাওয়া বাসাতেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ গুলি করা হয় তাঁকে। ৩০শে মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সঠিক!
ভুল!
-
১৯৭১ সালে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি বেতারে প্রচারের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের নামে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকে। সাংবাদিকতার প্রচলিত নীতি লঙ্ঘন করলেও এর ফলে রেডিওতে সেই ভাষণটি প্রচার হয়। ১৯৭১ সালে 'ইত্তেফাক' -এর সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় লিখতেন। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর তাঁকে শান্তিনগরের চামেলীবাগের ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় বাহিনীর লোকেরা। তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সঠিক!
ভুল!
-
মেট্রিকুলেশন, ইন্টারমিডিয়েট, স্নাতক, স্নাতকোত্তর – সব পরীক্ষাতেই ছিলেন প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকীতে ‘স্যার আশুতোষ স্বর্ণপদক’ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ১০০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার জন্য।
সঠিক!
ভুল!
-
লন্ডনে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। বিখ্যাত এ চিকিৎসক ১৯৭১ সালে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর তাঁর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায় রায়েরবাজারে।
সঠিক!
ভুল!
-
১৯১৪ সালে ‘সাধনা ঔষধালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। আয়ুর্বেদশাস্ত্র নিয়ে বিখ্যাত সব বইয়ের রচয়িতা এই ব্যক্তি লন্ডন কেমিক্যাল সোসাইটির ফেলো ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল সাধনা ঔষধালয়ের দফতরেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করে।
সঠিক!
ভুল!
-
ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী হাসপাতালসহ অসংখ্য জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময় রেডক্রস সোসাইটিকে তিন লক্ষ টাকা দান করেন এবং ক্ষুধার্তদের জন্য চার মাসব্যাপী সারাদেশে দুইশত পঞ্চাশটি লঙ্গরখানা খোলা রাখেন। কয়লা, চামড়া, পাটের ব্যবসায় ধনকুবের হওয়া এ সমাজসেবক দানবীর নামে পরিচিত।
সঠিক!
ভুল!
-
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের সুরকার তিনি। তাঁর আউটার সার্কুলার রোডের বাসায় ক্র্যাক প্লাটুনের গোপন ক্যাম্প ছিল। কিন্তু ক্যাম্পের কথা ফাঁস হয়ে গেলে ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে আটক করে। এরপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে।
সঠিক!
ভুল!
-
‘সাপ্তাহিক ইত্তেফাক’ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করলেও পরে যোগ দেন ‘দৈনিক সংবাদ’–এ। ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি হওয়ার পর চার বছর জননিরাপত্তা আইনে জেলে থাকেন। দুটো বিখ্যাত উপন্যাসের রচয়িতা এই সাহিত্যিকের স্মৃতিকথার নাম ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কজন সদস্য তাঁকে তাঁর বাসা - ২৯ বি কে গাঙ্গুলী লেন থেকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁর লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সঠিক!
ভুল!
-
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা প্রথম উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল-জুন, এ তিন মাসের পটভূমিতে রচিত উপন্যাসটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছিলেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। ‘বাংলাদেশে নামল ভোর’ বাক্য দিয়ে যার শুরু, তার শেষ হয় অমোঘ আশার বাণী ‘মা ভৈঃ’ দিয়ে। এ শিক্ষককে ১৪ ডিসেম্বর ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।
সঠিক!
ভুল!
-
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৪৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রথম যে ছাত্রসভা হয়, তাতে বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে কারাবন্দী অবস্থাতেই লেখেন বিখ্যাত একটি নাটক। ১৯৬৯ সালে হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান। বিখ্যাত এ নাট্যকার পাকিস্তানের বেসামরিক খেতাব সিতারা-ই-ইমতিয়াজ প্রত্যাখ্যান করেন অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে।
সঠিক!
ভুল!
-
১৯৩৭ ও ’৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছিলেন। সংস্কৃত ভাষার এই বিশেষজ্ঞ ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে যোগ দেন। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস নিয়ে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁর লাশ যখন পাওয়া যায়, মুখের ভেতর কোন দাঁত ছিল না, মাথায় কোন চুলও ছিল না।
সঠিক!
ভুল!
-
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ নারী বুদ্ধিজীবী তিনি। ১৯৭১ সালের ২৩শে মার্চ দুই ভাইকে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মিরপুরে নিজ বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ২৭শে মার্চ কাদের মোল্লার নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী তাঁর বাসায় আক্রমণ করে দুই ভাইকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর তাঁর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে হত্যা করা হয়। তারপর সে মাথাকে চুল দিয়ে বেঁধে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো। শেষে তাঁর মাকেও হত্যা করা হয়।
সঠিক!
ভুল!
-
This questions are helpful to me to know our history.