প্রথমজন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক ও গীতিকার এবং একজন সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনকর্মী তারেক মাসুদ। অন্যজন বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য সাংবাদিক, শিক্ষক, টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর।
‘মুক্তির গান’, ‘মাটির ময়না’, ‘অন্তর্যাত্রা’ দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গতিধারা পাল্টে দেওয়া এক ম্যাজিক হিরো হলেন তারেক মাসুদ। সমাজ-সংস্কৃতি আর মানুষের গল্প তুলে ধরেছেন সেলুলয়েডের ফ্রেমে। আর মিশুক মুনীর টেলিভিশন সাংবাদিকতায় এনেছেন নতুনত্ব ও অভিনবত্ব। আন্তর্জাতিক ধারার সাংবাদিকতাকে দেশে পরিচয় যেমন করিয়েছেন, তেমনি বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্রের চিত্রগ্রাহক আর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও ছিলেন বেশ প্রশংসিত।
দুই বন্ধুর গল্পটা একসাথে জুড়েছিলো তারেক মাসুদের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ক্যামেরার পেছনের জগতে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, সাংবাদিকতা, সংস্কৃতির গল্পটা নতুন করে বলতে চেয়েছিলেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন অন্য এক দিগন্তে, হয়তো সফলতার সাথে সেটাই করে গেছেন জীবনভর!
সদ্য ফোঁটা ভোরের আলো হয়ে থাকুন, আপনারা দুজন!
তারেক মাসুদ (৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬ – ১৩ আগস্ট ২০১১)
মিশুক মুনীর (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ – ১৩ আগস্ট ২০১১)