রক ব্যান্ড কুইজ: সর্বকালের সেরা যারা

১৯৭৬ সালে "Their Greatest Hits (1971–1975)" নামের অ্যালবাম বের করে এ ব্যান্ড, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবামগুলোর একটি। "Best of My Love", "Already Gone", "Take It Easy" ও "Hotel California" লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক ব্যান্ডটির সেরা গানের তালিকায় রয়েছে।

ব্রিটিশ এ হেভি মেটাল ব্যান্ডের জন্ম ১৯৬৮ সালে, বার্মিংহামে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে তিনটি অ্যালবাম বের করেন তাঁরা - একটা ব্যান্ডের নামে, বাকি দুইটি "Paranoid" ও "Master of Reality" নামে। "Iron Man" তাঁদের একটি বিখ্যাত গান।

জিমি পেইজ, রবার্ট প্ল্যান্ট, জন পল জোনস ও জন বন্যামের মাধ্যমে ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠা ঘটে। ব্যান্ডের নামে প্রথম চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন তাঁরা। ১৯৮২ সালের "Coda" তাঁদের সর্বশেষ স্টুডিও অ্যালবাম।

দুই ভাই মিলে জনপ্রিয় এ রক ব্যান্ড গঠন করেন ১৯৭৩ সালে। "Highway to Hell" অ্যালবামের পর প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পান তাঁরা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোন ব্যান্ড তাঁদের সাফল্যের কাছাকাছি আসতে পেরেছে কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।

সিড ব্যারেট, নিক ম্যাসন, রজার ওয়াটার্স ও রিচার্ড রাইট ছিলেন ইংল্যান্ড থেকে উঠে আসা এ ব্যান্ডের সদস্য। তাঁদের ডেব্যু অ্যালবাম "The Piper at the Gates of Dawn" সাইকেডেলিক রক গানের জন্য বেশ আলোচিত হয়। তবে ১৯৭৩ সালের "The Dark Side of the Moon" অ্যালবাম তাঁদেরকে নিয়ে যায় সর্বকালের সেরাদের কাতারে।

১৯৭০ সালে বোস্টনে জন্ম হয় এ ব্যান্ডের, স্টিভেন টাইলারের মাধ্যমে। নিজেদের নামেই তাঁরা প্রথম অ্যালবাম বের করেন। কিন্তু মূলধারার সাফল্য পেতে তৃতীয় অ্যালবাম "Toys in the Attic" পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।

"We Are the Champions" ও "We Will Rock You" দিয়ে এক সময় রেডিও আর কনসার্ট মাতিয়েছে এ ব্যান্ড। মূল গায়ক ফ্রেডি মারকিউরি পরিণত হয়েছেন এক মিউজিক আইকনে। প্রায় ১৫টির মতো স্টুডিও অ্যালবাম বের করে ইংলিশ ব্যান্ডটি।

প্রথম ব্যান্ড হিসাবে সাত মহাদেশে কনসার্ট করার সৌভাগ্য হয়েছে এ ব্যান্ডের। ১৯৮১ সালে গঠিত ব্যান্ডটি ডেব্যু অ্যালবাম "Kill 'Em All" দিয়ে হেভি মেটাল ভক্তদের মন জয় করে নেয়। সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ব্যান্ডের তালিকায় রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এ ব্যান্ড।

১৯৬০-এর দশকে যখন এ ব্যান্ড ইংল্যান্ডে যাত্রা শুরু করে, তখন জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হয় তাঁদের। "The Last Time" ও "(I Can't Get No) Satisfaction" গান দিয়ে তাঁরা স্বতন্ত্র পরিচিতি ও সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে ব্যান্ডের নামে মিউজিক রেকর্ডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করলেও তা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি।

অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যান্ড এটি। ১৯৯১ সালে তাঁদের দ্বিতীয় অ্যালবাম "Nevermind" বের হবার পর ইন্ডি রক গানের ধারাই বদলে যায়। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কার্ট কোবেইনের আকস্মিক মৃত্যুর পর ব্যান্ডটি আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।