২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ২০১৭’। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর আয়োজিত হওয়া শুদ্ধ সঙ্গীতের এ আয়োজন এক জায়গায় নিয়ে আসে এ উপমহাদেশের কিংবদন্তিতুল্য মহান সুর সম্রাট-সম্রাজ্ঞীদের। সাথে সঙ্গীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে রাখে অসাধারণ আর বিস্ময়কর সুরের ঝংকারে।
আজকের ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত কুইজে দশ সঙ্গীত মহারথী সম্পর্কে তথ্য দেয়া আছে। আপনাকে শুধু চিহ্নিত করতে হবে তাঁদেরকে।
কুইজের ছবি কৃতজ্ঞতা: বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
১৯৩০ সালে জন্ম নেয়া ভারতের প্রখ্যাত এ সঙ্গীতজ্ঞের সঙ্গীত সাধনার সূচনা তাঁর বাবা পণ্ডিত মতিরামের কাছ থেকে। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাই পণ্ডিত মনিরাম ও পণ্ডিত প্রতাপ নারায়ণের সান্নিধ্যে সঙ্গীতসাধনা করতে থাকেন। সানান্দের মহারাজা জয়ন্ত সিং ওয়াঘেলার নিকটও তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে ‘মেওয়াতি ঘরানা’-র সূচক হিসেবে সর্বপরিচিত। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণসহ আরো বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
সঠিক!
ভুল!
-
উত্তর প্রদেশের লখনৌতে জন্ম তাঁর। কত্থক নৃত্যের কিংবদন্তি হিসাবে পৃথিবীখ্যাত। বাবা আচ্চান মহারাজের কাছে হাতেখড়ি; এরপর দুই চাচা লাচ্ছু ও শম্ভু মহারাজের কাছে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। 'দেবদাস', 'বাজীরাও মাস্তানি'র মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে কোরিওগ্রাফি করেছেন মহারাজ পরিবারের সদস্য এ শিল্পী।
সঠিক!
ভুল!
-
পৃথিবীখ্যাত এ তবলাবাদকের সুর যেন শ্রোতার কানে এক অভূতপূর্ব গানের মতো শোনায়! কিংবদন্তিতুল্য তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা কুরেশির সন্তান তিনি। ১৯৫১ সালে তাঁর জন্ম। মাত্র ১২ বছর বয়সে তবলা বাজানো রপ্ত করেন। ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর থেকে শুরু হয় আন্তর্জাতিক সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে তাঁর যাত্রা। তিনি জন ম্যাকলফ্লিন ও লক্ষ্মীনারায়ণ শঙ্করের সাথে মিলে তৈরি করেন ‘শক্তি’। এছাড়াও জর্জ হ্যারিসন, জো হেন্ডেরসন, ভ্যান মরিসন, হংকং সিম্ফনি প্রমুখ নামকরা সঙ্গীতশিল্পী ও সংঘের সাথে সঙ্গীত পরিবেশনা করেছেন। সর্বকনিষ্ঠ পার্কাশনিস্ট হিসেবে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হবার সম্মান রয়েছে তাঁর। এছাড়াও গ্লোবাল ড্রাম প্রজেক্টের জন্য গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
সঠিক!
ভুল!
-
প্রখ্যাত এ পাকিস্তানি সেতার বাদক মেওয়াতি ঘরানার উত্তরসূরি। ‘গান্ধার-পঞ্চম’ নামক এক বিশেষ সেতার বাজাতেন। ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন মধ্যপ্রদেশে; মুম্বাইতে বেড়ে উঠলেও পরে পাকিস্তানে বসবাস করতে শুরু করেন। তাঁকে সর্বকালের সেরা সেতারবাদকদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। খেয়াল, ধ্রুপদ ও ঠুমরীর সমন্বয়ে তিনি এক অসাধারণ সুরের সৃষ্টি করে শ্রোতাদের বিস্ময়ে অভিভূত করতেন। ২০১৭ সালের ৬ মে তাঁর মৃত্যু হয়।
সঠিক!
ভুল!
-
খেয়াল অঙ্গের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিখ্যাত এ দুই ভাইয়ের সঙ্গীতসাধনার সূচনা হয় পিতামহ বাড়ে রাম দাসজির হাত ধরে, যা চাচা সারঙ্গী ভিরতসু ও গোপাল প্রসাদের সান্নিধ্যে আরো বিকশিত হয়। খেয়াল ছাড়াও টপ্পা, ভজন ও বিভিন্ন ধরনের শুদ্ধ সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছেন তাঁরা। উভয়ই পদ্মভূষণ পদক পেয়েছেন।
সঠিক!
ভুল!
-
১৯৩৮ সালে প্রখ্যাত এ সন্তুর শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত হয়েছেন কাশ্মিরী লোকজ সঙ্গীত হতে সন্তুরকে ভারতীয় শুদ্ধসঙ্গীতে সংযোজনের মাধ্যমে। প্রথমে শুদ্ধসঙ্গীতের রক্ষণশীল গোষ্ঠীর কাছ থেকে বাধা পেলেও বর্তমানে তিনি সন্তুরবাদক হিসেবে সুপরিচিত। পদ্মবিভূষণ, পদ্মশ্রী, তানসেন সম্মাননা, মাস্টার দীনানাথ মুঙ্গেশকর সম্মাননা ছাড়াও নানা স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
সঠিক!
ভুল!
-
পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ ও বহু পুরস্কারজয়ী এ কণ্ঠশিল্পী ঠুমরী নামক বিশেষ শুদ্ধ সঙ্গীতের চর্চার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। বাবার হাত ধরে সঙ্গীত অঙ্গনে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে শ্রী চন্দ্র মিশ্রর অধীনে সাধনা করেন। সঙ্গীতের পাশাপাশি অভিনয়েও ছিলো তাঁর পরিচিতি। মাত্র ৯ বছর বয়সে 'ইয়াদ রাহে' নামক ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর পরলোকগমন করেন।
সঠিক!
ভুল!
-
বর্তমানে গোয়ালিয়র, জয়পুর ও আগ্রা ঘরানার মধ্যমণি হিসাবে খ্যাতিমান। পিতা এন. ডি. কাশালকরের মাধ্যমে সঙ্গীত সাধনায় প্রবেশ তাঁর। পণ্ডিত রাম মারাঠে ও পণ্ডিত গজনবুওয়া যোশীর মতো বিখ্যাত শিল্পীদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
সঠিক!
ভুল!
-
১৯৩৯ সালের ২১ মার্চ কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বেনারসের প্রখ্যাত সানাই বাদক পরিবার থেকে তাঁর সঙ্গীত জগতে প্রবেশ। সানাই বাজানোর প্রশিক্ষণ পরিবারের দুই সদস্য ওস্তাদ নাজির হুসাইন খান ও ওস্তাদ ইমদাদ হুসাইন খানের নিকট গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি তানসেন পাণ্ডের কাছে কন্ঠসঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন।
সঠিক!
ভুল!
-
জন্ম ১৯৩৮ সালে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে। বাবা ছিলেন কুস্তিগীর। বাবার ইচ্ছানুযায়ী ছোটোবেলায় কুস্তি লড়লেও লুকিয়ে বাঁশি শেখা শুরু করেন। প্রথমে পণ্ডিত রাজা রাম ও পরে পণ্ডিত ভোলানাথ প্রসন্নের কাছে দীক্ষা নেন। বিখ্যাত সেতার বাদক অন্নপূর্ণা দেবীর এ ছাত্র বাঁশির জাদুকর হিসাবে পরিচিত।
সঠিক!
ভুল!
-