২৮ আগস্ট, ১৮৮২। ওভালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে মুখোমুখি হয় স্বদেশের মাটিতে অপরাজিত ইংল্যান্ড দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ফ্রেড স্পোফোর্থের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০১ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি ইংরেজদের পক্ষে। প্রথম দিনেই দুই ইনিংসের সমাপ্তির পর ২৯ আগস্ট ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ১২২ রানে অলআউট হওয়ায় মাত্র ৮৫ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড। ২য় ইনিংসে টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান চার্লস ব্যানারম্যান ছাড়া বাকি সবার আত্নাহুতির মিছিলে দারুণ ধাক্কা খায় অজিদের মনোবল। কিন্তু ফ্রেড স্পোফোর্থ হার মানতে নারাজ। তিনি মাঠে নামার আগে “এটা অবশ্যই সম্ভব” বলে চাঙ্গা করে তোলেন খেলোয়াড়দের। ইংল্যান্ডের মাটিতে আগুনঝরা বোলিং শুরু করেন ইতিহাসের প্রথম হ্যাটট্রিকের রেকর্ডধারী স্পোফোর্থ। আধুনিক ক্রিকেটের জনক ডব্লিউ জি গ্রেস ৩২ রান করে একপাশ আগলে রাখলেও স্পোফোর্থ আবার নেন ৭ উইকেট। শেষ বিকেলে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ৭৭ রানে। অবিশ্বাস্যভাবে নিজেদের মাটিতে প্রথমবার হার মানে ইংল্যান্ড। ঔপনিবেশিকরা হারিয়ে দিল সাম্রাজ্যের সেরাদের। শয়তান পরাজিত করলো ঈশ্বরকে।
তিন দিন পর ‘স্পোর্টিং টাইমস’ প্রকাশ করলো সেই এপিটাফ:
ইংলিশ ক্রিকেটের পূন্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে
ওভালে যার মৃত্যু হয়েছে, ২৯ আগস্ট ১৮৮২ সালে
শোকাবহ বেশ কিছু বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্তনাদের মাঝে
আর.আই.পি.
দ্রষ্টব্য – শবটা দাহ করে ভস্মটা (অ্যাশেজ) নিয়ে যাওয়া হবে অস্ট্রেলিয়ায়
অ্যাশেজ শব্দটি তৈরি হয়ে গেলো স্পোর্টিং টাইমসের ভাষায়। তবে ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো দ্বৈরথ শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই। ১৯৮২-৮৩ সিরিজ থেকে অ্যাশেজ নামটা মিশে আছে ক্রিকেটের সাথে। এবার সে ইতিহাস বিখ্যাত অ্যাশেজ নিয়েই গেম অনের সৌজন্যে অ্যাশেজ কুইজ।