করোনাভাইরাস কী?
করোনাভাইরাস একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রকৃতির রোগ। রোগটির নামকরণ হয়েছে ল্যাটিন শব্দ করোনা থেকে, যার বাংলা অর্থ মুকুট। রোগটি যেই ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়, সার্স-কভ-২ (SARS-CoV-2), সে ভাইরাসের চারদিকে মুকুটের মতো প্রোটিনের স্তর থাকে। তাই এটির এমন নামকরণ। ভাইরাসটি মূলত মানুষের ফুসফুসে আক্রমণ করে। এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস যা যুদ্ধবিধ্বস্ত কিংবা বিচ্ছিন্ন দেশগুলো বাদে বিশ্বের সব দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাস রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, শুষ্ক কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত এ রোগের প্রধান লক্ষণ।
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে শুষ্ক কাশি এবং কাশির মধ্যে পার্থক্য কী। শুষ্ক কাশি হচ্ছে মূলত কফ-সর্দি ছাড়াই ঘন ঘন যে কাশি হয়। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে প্রথমেই শুষ্ক কাশি হয় এবং জ্বর আসে। পরে ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা এবং মাংসপেশিতে ব্যথা শুরু হয়।
সাধারণত করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে দুই থেকে চৌদ্দদিন সময় লাগে। অনেকের মতে কখনো কখনো চব্বিশদিনও লাগতে পারে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় কী?
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে চাইলে বাইরে থেকে আসলে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এমনকি বাসায় থাকলেও কিছুক্ষণ পর পর ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিৎ।
এছাড়া হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে ফেলতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ ও চোখে হাতের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অ্যালকোহল সমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে হাত নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য।
পাশাপাশি হাঁচি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমন রোগীদের থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।