সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার। ঠিক এভাবেই তাঁকে আখ্যায়িত করা হয়েছে অলিম্পিকের ওয়েবসাইটে। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বকে চমক দেখিয়েছিলেন। এরপর আর থেমে থাকেন নি। একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন। সাথে জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা। আমাদের কাছে উসাইন বোল্ট যেন গতির আরেক নাম। ২০১৭ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন ব্রোঞ্জ পদক দিয়ে। কিন্তু তাতে এতটুকু ম্লান হয় নি কিংবদন্তি এ জ্যামাইকান স্প্রিন্টারের অর্জন।
তিন প্রশ্নে জেনে নেয়া যাক উসাইন বোল্ট সম্পর্কে। এখানে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা অর্জনগুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
কয়টি অলিম্পিক পদক জিতেছেন?
আটটি। এর প্রত্যেকটিই স্বর্ণপদক।
– ১০০ মিটার দৌড়ে ৩টি (২০০৮, ২০১২, ২০১৬ অলিম্পিক);
– ২০০ মিটার দৌড়ে ৩টি (২০০৮, ২০১২, ২০১৬ অলিম্পিক);
– ৪X১০০ মিটার রিলেতে ২ টি (২০১২, ২০১৬ অলিম্পিক)।
২০০৮ সালের ৪X১০০ মিটার রিলেতেও স্বর্ণপদক পেয়েছিলো তাঁর দল। কিন্তু সঙ্গী নেস্টা কার্টার নিষিদ্ধ উপাদান ব্যবহার করেছিলেন বলে পদকটি কেড়ে নেয়া হয়।
উসাইন বোল্ট কয়টি বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী?
তিনটি।
– ৯.৫৮ সেকেন্ড, ১০০ মিটার দৌড়, ২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ;
– ১৯.১৯ সেকেন্ড, ২০০ মিটার দৌড়, ২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ;
– ৩৬.৮৪ সেকেন্ড, ৪X১০০ মিটার রিলে, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক।
অন্যান্য কী রেকর্ড রয়েছে তাঁর?
– প্রথম অ্যাথলেট হিসাবে এক অলিম্পিকে তিনটি বিশ্বরেকর্ড। ২০০৮ সালে।
– পরপর তিন অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে জয়ী প্রথম স্প্রিন্টার।
– বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চবার বিজয়ী – ১১ স্বর্ণপদক।
বোনাস তথ্য
– ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০০ মিটার দৌড়ের স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে বাদ পড়ে যান।
– ২০১১ সালের দায়েগু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রাউন্ডে বাদ পড়েছিলেন উসাইন বোল্ট। ফলস স্টার্টের কারণে।
– উসাইন বোল্ট নিজের প্রথম পদক জিতেছিলেন ২০০ মিটার দৌড়ে – হাইস্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্যপদক। এর আগে ক্রিকেটার হবার ইচ্ছা ছিলো তাঁর।
– সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার দৌড়ে জয়ী হবার কৃতিত্ব রয়েছে বোল্টের। ২০০২ সালে তিনি এ কীর্তি গড়েন। বয়স ছিলো ১৫ বছর।